মনে পড়ে...
সেদিন বাবাই বলেছিলো আজ তাড়াতাড় ফির মা
পারিনি রাখতে সে কথা আমার আর ফিরা হলো না,
হঠাৎ হুড়মুড়ি কি যেন একটা চেপে বসেছিলো গা
ঠিক চলে যাবার আগ মুহুর্তে বুঝেছি, বুঝছি কি তা।
আস্তো আস্তো ইট পাথরের ধসে পড়া দেয়াল ছিলো সেটা
শুধু আমার উপর নয় হাজার পেরিয়ে শতক গোটা।
তারপর...
তারপর যেন রাবনের কুরুক্ষেত্র বনে গেলো
মায়ার বাঁধন ছিড়ে অসীমে হারানোর প্রতিযোগিতা শুরু হলো,
এইতো আমার পাশের চামেলির মা না বলেই হাত ছেড়ে দিলো
আজ চামেলির জন্মদিন আমাকে যেতে বার বার বলেছিলো।
আমি-ই বা কি করে যাবো; আমরা তো এই মেশিনের পাশেই পরিচিত,
তার ওপর বুকের উপর চেপে বসেছিল কনক্রিটের দেয়ালগুলো,
কখন যে ছাড়া পাই ওদিকে সন্ধ্যা হলো হলো !

হঠাৎ সন্ধ্যা নামলো...
আরে নাহ আমি দেখতে পাইনি মুয়াজ্জিনের আযানে বুঝেছি
প্রতিদিন যার মধুর সুরে সন্ধ্যা নামে আলোর রেখা মুছি,
কেউ আছ ! এইযে শুনছো কেউ আছো ? আমি এখানে আটকা পড়েছি,
কেউ বুঝি শুনছে না; এদিকে তৃষ্ণার চোটে আমি মরছি !

আমি মরে গেছি...
হ্যাঁ হ্যাঁ তখনই মুয়াজ্জিন যখন সন্ধ্যা নামালো, তখনই !
কিন্তু এখন আমি কোথায়; এত লাশের সারি, তবে এটা লাশ কাটা ঘর-ই !
কেমন জ্বালার কথা ভাবুনতো একবার; আমি কতো কষ্টে মরেছি,
তার উপর এখন আমায় আবার কাটবে; ডান হাতটা ও ওখানে ফেলে এসেছি।
চামেলির মা যে হাত ধরে ছিলো বাবাই কে যে হাতে খাইয়েছি,
আমাকে কেটে কি হবে ! এতো কষ্ট দেয়ার কি কারন মিছেমিছি ?

মন চাচ্ছে...
সবকিছু ভেঙ্গে চৌচির করে দিই সেই দালানের মতন
সবকটা মানুষকে পিষে মারতে যারা বুঝে না আমার যাতন ,
যারা আমাদের আবেগ বুঝে না বুঝে না বেঁচে থাকার মানে
যারা বাবাই চামেলিদের শখগুলো ও পূরণ করতে দেয় না।
সব শেষে করে ক্ষোভ মিটিয়ে হারিয়ে যাব, আর ফিরবো না !
ওদের না মারলে যে আমার আত্মার শান্তি মিলবে না !



Leave a Reply.

    আমার কথা...

    ছোটবেলায় শরির দুলিয়ে দুলিয়ে
    পাঠ্য বইয়ের কবিতা পড়তে পড়তে
    কখন যে কবিতা আমার হৃদয় দুলিয়ে
    দিয়েছে তা এখনো বুঝতে পারিনি !

    সংগ্রহশালা

    January 2014

    বিভাগ

    All
    সাহিত্য