যদি ঢেউ এসে ভেংগে দেয় বালুচরের ঘর,
আপন স্বজন মোর হবেরে পর ।
হয়তো চোরা খাদে জড়িয়ে পাঁজর,
রচিত করব নিঃস্ব জীবন মোর ।

সকল আপন মোর জলেতে ভাসি,

 
জানলার কার্নিসে রংচটা জল,
শিশিরের নাম করে জমেছে ।
অরুণের শিখা এসে প্রায়শে,
রক্তিম করে দিয়ে ছুটেছে ।

পাখি ওই দূরে বসে প্রভাতে,
গান করে মনছোঁয়া সুরেতে ।
ছুঁয়ে যায় হৃদয়ের কিনারা,
নেচে উঠে অজানা সুখেতে ।

 
জীবনের ওলিগলিগুলো কেমন যেন অচেনা মনে হচ্ছে,
যেন ভিন গ্রহ হতে পথভুলে আসা কোন নতুন পথযাত্রীর চোখে দেখা প্রতিটি পদক্ষেপ ।
আমি আজ হয়রান হইনা,
বারে বার নিজেকে নতুন করে নতুন কোনস্থানে আবিষ্কার করি ।

 
এবারে আসতে পারিনি؛ আসবোওনা
আমার জন্য পথ চেয়ে থেক না,
সময় আজ হেঁয়ালি ভুলে গেছে
এতটুকু ও মিছে খরচ করতে দেয় না।
বড্ড আনরোমান্টিক।

 
তোমার দেয়া সেই গোলাপের অস্তিত্ব
বলতে শুধু এটুকুই আছে,
জীবন্ত কিছু ভয়াল কাঁটা
আর প্রায়শেই তার আঘাতের একফোটা রক্ত।
তবুও খুব যতনে রেখেছি ভেবে

    আমার কথা...

    ছোটবেলায় শরির দুলিয়ে দুলিয়ে
    পাঠ্য বইয়ের কবিতা পড়তে পড়তে
    কখন যে কবিতা আমার হৃদয় দুলিয়ে
    দিয়েছে তা এখনো বুঝতে পারিনি !

    সংগ্রহশালা

    January 2014

    বিভাগ

    All
    সাহিত্য